Header Ads

Header ADS

নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি.

নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি.

কাজি রাসেল ঢাকা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই সরকারের অধীনে আর কোনো ভোটে অংশ নেবে না বললেও সেই অবস্থান থেকে ফিরে এসেছে বিএনপি। আগামী ১৪ অক্টোবর আটটি উপজেলায় যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে দলটি অংশ নেবে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলেছিল বিএনপি। এরপর তারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বয়কট করে। উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির যে নেতারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের বহিষ্কারও করা হয়। কিন্তু এবার সেই অবস্থান থেকে ফিরে এলো দলটি।








গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকাল ৫টায় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়। রাত সাড়ে ৭টায় দলের মহাসচিব বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের নেয়া সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।

ফখরুল জানান, ভারতের আসামে নাগরিকপঞ্জির ব্যাপারে স্থায়ী কমিটি উদ্বেগ জানিয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সেখানকার মন্ত্রী, বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের যেসব বক্তব্য দেশটির বিভিন্ন পত্রিকায় বেরিয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে, ১৯ লাখ যারা বাদ পড়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, এই ধরনের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে যে, সরকার এ ব্যাপারে নীরব থাকছে। এখানে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছে, সেই বৈঠকে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে নিশ্চিত করেছে যে, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যখন বাদ পড়াদের বাংলাদেশের নাগরিক বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে, তখন কিন্তু সেটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকছে না। আমরা এই বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমরা বাংলাদেশের সরকারের কাছে এই ব্যাপারে পরিষ্কার ব্যাখ্যা চাই, ব্যাখ্যা দাবি করছি।

মহাসড়কে টোল আদায়ের সরকারের সিদ্ধান্তেরও নিন্দা জানায় স্থায়ী কমিটি। ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনে সেই অবস্থায় দাঁড়ায়নি যে, রাস্তার ওপরে টোল আদায় করতে হবে। আমরা মনে করি জনগণের ওপর আরও একটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছে বলে জানান ফখরুল।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ফখরুল ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল ম্ঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.